রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪৮ অপরাহ্ন
স্পোর্টস রিপোর্টার, ই-কণ্ঠ টোয়েন্টিফোর ডটকম ॥ আজ মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বিসিবির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিক্রমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে কাউন্সিলরদের হিসাবে রদবদল এসেছে। ঢাকার ক্রিকেটের সব ক্লাবের ভোট এখন সমান। আগেই অনুমিত ছিল, কাউন্সিলরশিপে পরিবর্তন আনতে চলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রতিদ্বন্দ্বিতা বৃদ্ধিতে ঢাকার সব ক্লাবের ভোট সমান পাপন।
আগে প্রিমিয়ার লিগে খেলা সুপার লিগের ৬টি ক্লাব দুটি করে এবং বাকি ছয়টি ক্লাব একটি করে ভোট দেওয়ার অধিকার পেতো। এখন থেকে ঢাকার চার স্তরে খেলা সব ক্লাবের ভোট সমান।
বিসিবির এজিএম শেষে এজিএম শেষে সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, ‘এখন যেহেতু প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেড়েছে, তাই আর সুপার লিগের ছয় ক্লাব থেকে দুজন করে কাউন্সিলর থাকার প্রয়োজনীয়তা নেই।
‘প্রিমিয়ার লিগে কারও কারও কাউন্সিলরশিপ ছিল না। আবার কারও একাধিক ছিল। প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগের ক্লাবগুলোর যেমন দুটি করে ছিল। আজ এজিএমে পাশ করা হয়েছে, আমরা প্রত্যেকটা ক্লাবকে সমান সংখ্যক কাউন্সিলরশিপ দেবো। এখন থেকে ঢাকার ক্লাবগুলোর ভোটাধিকারে আর কোনো বৈষম্য থাকছে না।
প্রিমিয়ার লিগ, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়- সব বিভাগের ক্লাবই দিতে পারবে একটি করে ভোট। অর্থাৎ ঢাকার প্রতিটি ক্লাব থেকেই এখন থেকে একজন করে কাউন্সিলর থাকবেন বিসিবিতে।
২০১৩ সালে প্রথমবার বিসিবির দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগ খেলা ছয় ক্লাব থেকে দুজন করে কাউন্সিলরশিপ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন পাপন। এরপর তিনটি নির্বাচন এই নিয়মে হয়েছে। তাহলে এখন কেন বদল? জবাবে পাপন বলেছেন, ‘বহু বছর ধরে আমি ক্রিকেটে সম্পৃক্ত। আবাহনী ক্লাবে আগে জড়িত ছিলাম।
তখন থেকেই দেখেছি প্রিমিয়ার লিগে দুটি ক্লাব- আবাহনী ও মোহামেডান। ক্লাব অনেক ছিল, কিন্তু আবাহনী-মোহামেডানই চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য লড়াই করতো। শক্তিশালী দল গঠন করতে চাইতো যেন তারা চ্যাম্পিয়ন হতে পারে। ’
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, এতদিন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলা ১২ দলের মধ্যে সুপার সিক্সে খেলা ৬টি দল ২টি করে কাউন্সিলরশিপ পেয়ে আসছিল, বাকিরা ১টি করে। প্রথম বিভাগে অংশ নেওয়া ১২ ক্লাবের সমান ১টি করে কাউন্সিরশিপ ছিল এতদিন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ থেকে এখন পর্যন্ত ঢাকার ৭৬ ক্লাব থেকে বিসিবিতে ছিলেন ৫৮ জন কাউন্সিলর। প্রিমিয়ার লিগের ১২ ক্লাব থেকে ১৮ জন, প্রথম বিভাগে ২০ ক্লাবে ২০ জন, দ্বিতীয় বিভাগে ২৪ ক্লাবে ১২ জন এবং তৃতীয় বিভাগে ২০ ক্লাবে ৮ জন কাউন্সিলর ছিলেন।
এখন নতুন নিয়মে ৭৬ ক্লাব থেকে ৭৬ জন কাউন্সিলর থাকবেন বোর্ডে। অর্থাৎ প্রতিটি ক্লাব থেকেই একজন করে পাবেন বিসিবি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার।
এ বিষয়ে তার শেষ কথা, ‘এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট এমন একটা জায়গায় এসেছে ক্লাবগুলোকে প্রত্যেকটে একটি করে কাউন্সিলরশিপ দিলে কারও কোনো ক্ষোভ থাকার কথা নয়। বরং সবার খুশি হওয়ার কথা। প্রত্যেকেই এটাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং খুশি হয়েছে।’